শিরোনাম
Passenger Voice | ১১:০৭ এএম, ২০২৪-০৪-১৮
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রাফিক বিভাগ। এই বিভাগের আওতাধীন এলাকা দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ঢাকা জেলার ১৭টি জেলাসহ মোট ৩৮টি জেলার যানবাহন ঢাকা শহরে প্রবেশ করে এবং শহর থেকে উল্লেখিত গন্তব্যে যায়। তাই স্বাভাবিকের তুলনায় এই বিভাগে যানবাহনের আধিক্য থাকে। ঈদ পরবর্তী ঢাকামুখি মানুষের ঘরে ফেরা স্বাচ্ছন্দ্য করতে এই বিভাগের সদস্যরা প্রতিদিন প্রায় ১৬ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদ পরবর্তী যানজট নিরসনে এবং দুর্ঘটনা হ্রাসে এই বিভাগের প্রতিটি সদস্য নিরলস কাজ করে চলেছেন।
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম জানান, ফিটনেসবিহীন বাস ও ট্রাক, মূল সড়কে অটোরিক্সা, বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল, লক্কর-ঝক্কর লেগুনা ও মহানগরের বাইরে থেকে আসা সিএনজিচালিত বেবিট্যাক্সি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ট্রাফিক পুলিশ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যগণ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে আজ ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের একজন সার্জেন্ট এবং একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম জানান, ট্রাফিক-ওয়ারী জোনের সার্জেন্ট মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দয়াগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলটি তাকে আঘাত করে। সার্জেন্ট রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে বর্তমানে বিশ্রামে রয়েছেন। অপরদিকে কনস্টেবল মোঃ একলাছ আলী ডেমরা এলাকার কোনাপাড়ায় মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত গাড়ির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে আহত হন। তাকেও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এভাবে পথচারী, যাত্রী, গাড়ির হেলপার, চালকসহ ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করা নগরবাসীর চলাচলকে নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের সদস্যগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করতে দ্বিধা করছেন না।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.